হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া নিউজ ডটকম
প্রকাশিত: ১৬/০৭/২০২৫ ৮:০১ পিএম , আপডেট: ১৬/০৭/২০২৫ ৮:০৩ পিএম

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত রাখতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেছে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এ উদ্দেশ্যে বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ৮ এপিবিএনের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয় এক মতবিনিময় সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক পুলিশ সুপার রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, পিপিএম।
সভায় কক্সবাজার জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী, উখিয়া প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব, সিনিয়র সাংবাদিক, সম্পাদক ও প্রকাশকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধিনায়ক রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, “সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাস্তব পরিস্থিতি নির্ভীকভাবে তুলে ধরার পাশাপাশি যদি আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন, তাহলে মাদক, অস্ত্র ও সন্ত্রাসী তৎপরতা দমন আরও কার্যকরভাবে সম্ভব হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা ক্যাম্পে চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করি। প্রতিনিয়ত অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী, ডাকাত দল, মাদক ব্যবসায়ী ও জঙ্গি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গ্রুপের হুমকির মধ্যে থেকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছি। এই প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের সহায়তা অপরিহার্য।”

সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন সমস্যা, তথ্যপ্রাপ্তির স্বচ্ছতা, পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং ক্যাম্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা সম্পর্কিত বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরেন।

অধিনায়ক রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ সাংবাদিকদের বক্তব্য গুরুত্ব সহকারে শোনেন এবং বলেন, “গণমাধ্যমের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ ও ফলপ্রসূ করতে চাই। ভবিষ্যতে নিয়মিত মতবিনিময়ের মাধ্যমে এই পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করবো।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (প্রশাসন, অর্থ ও অপারেশন) জনাব উক্য সিং, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কায়সার রিজভী কোরায়েশী, সহকারী পুলিশ সুপারগণ, উখিয়া প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব, উখিয়া-টেকনাফের সিনিয়র সাংবাদিক ও বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অধিনায়ক রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ জুলাই মাসের শহীদদের স্মরণ করে গভীর শোক প্রকাশ করেন।

সভায় অংশগ্রহণকারীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই মতবিনিময় সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে যোগাযোগ, আস্থা ও সমন্বয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে অস্থিতিশীল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল পক্ষের একসঙ্গে কাজ করার এখনই সময়—এই উপলব্ধিই উঠে এসেছে আলোচনায়।

পাঠকের মতামত

কুতুপালং পশ্চিমপাড়ায় পরিচয় যাচাইহীন রোহিঙ্গা ভাড়া, বাড়ছে শঙ্কা

মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও সেনা জান্তার সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মানবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ইউনাইটেড নেশন টিম

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ইউনাইটেড নেশন ফোরাম বাংলাদেশ স্টাডি প্রোগ্রাম (BSP) এর ...